
ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে এবার নিজেদের বাসিন্দাদের ওপর বোমাবর্ষণ করলো ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে গিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইহুদি বসতির ওপরেই বোমাবর্ষণ করে বসল!
বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালের ওই ঘটনার পরেই অবশ্য সাফাই দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।
তাদের যুক্তি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই গাজা সীমান্তের দু’কিলোমিটার দূরে ইতজাকের কাছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ওপর যুদ্ধবিমান থেকে কয়েকটি বোমা পড়ে গিয়েছে!
ঘটনাচক্রে, নেতানিয়াহুর গাজা সফরের দিনেই ঘটেছে এই বিপত্তি। অন্য দিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। কাৎজ বলেন, হামাসের উপর চাপ বাড়াতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরো পড়ুন
ভারতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ
তবে সেই সঙ্গেই গাজায় মোতায়েন সেনাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজায় হানা দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজা ফাঁকা করানো হয়। এর পরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করে দেয়। এর পর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিসে।
এবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিশানা গাজা ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত রাফা। সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে বহু ফিলিস্তিনির হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন প্রস্তাব এসেছে ইসরায়েলের তরফে। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে বিনিময়ে কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে তেলআবিব।
পাশাপাশি, আগামী ৪৫ দিনের জন্য গাজায় হামলা বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে, তারা তেলআবিবের প্রস্তাব বিবেচনা করছে।
হামাসের এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েলের শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারকে ‘আমেরিকার প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে’ মুক্তি দেওয়া হবে।