০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দোলন চাঁপা’র একগুচ্ছ কবিতা

  • আপডেট সময়: ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 76

♠ 

আলগোছে পালিয়ে যাবো

তবুও চলে যাবো

সীমান্ত ভেদে গাঢ় অন্ধকারে,

সোনালি বিকেলের বিরুদ্ধে।

অলৌকিক জাহাজের মাস্তুল ঠিকানাবিহীন চলমান ঘোড়া।

জোয়ার ভাটার বাঁধাহীন গন্তব্য তবে কীসের তাগিদ!!

আকাশের রক্তবর্ণ চোখ মেঘেরা

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার মতো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে।

আমি আলগোছে পালিয়ে যাবো তৃণ ঘাসের ডগায়।

মায়াবী ক্রন্দনে চোখের জল

রাতের কুয়াশার মতো ঝরে পড়ে।

কষ্টগুলো…

 

স্বপ্নভূক

যাকে ভালোবাসি তার মুখোমুখি হতে গেলেই

রাতের অন্ধকার নেমে আসে

তিমির বিনাশী চোখ ছিলো আমার

আহা বারবার তার আহ্লাদী মুখ

চৌকস পলায়নপর পাহাড়ি পৌরুষ

নিয়ে ডেকে যায়

নিদ্রায় মশগুল আমার অলিন্দে আজ স্বপ্নভূক সন্ধ্যা

তারা মিটিমিটি ইশারা। আমার গভীরে কেবলি তুমি

বিশাল সমুদ্র ভূমি।

ঘুমঘোরে কাটে রাত তুমিহীন

বিশ্ব নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যায়

রাত থমথম স্তব্ধ নিঝুম ভালোবাসার

দোলায়িত মেঘ তিমির রাত্রি অন্ধকার যাত্রি

তোমাকেই খুঁজে ফিরি।

ঢেউয়ের ছোবল

একদিন সব শেষ হয়ে যাবে

আকাশের বিশাল জলরাশি,

মেঘ ঘন কুয়াশার মতো হালকা বৃষ্টিপাত

ধীরে কমে যায়

বাতাসের বেগ অদ্ভুত অন্ধকার রাত

উদ্দাম সৃষ্টির রহস্য হারাবে।

ক্ষুধার্ত সর্বগ্রাসী তরঙ্গমালা

ঢেউয়ের ছোবল প্রবল জলস্রোতে

এরমধ্যে বাতাসের আস্কারা জলের উন্মাদনা

কারো কারো মতে হতে পারে নরকের ইশারা

তবু আকাশ পরে থাকে স্বর্ণবালা

নক্ষত্র ঝিলিমিলি

নীল আকাশে পেতেছি যে শয্যা

মেঘের তিমিরে কাটাবো রাত মেঘে ঢাকা নীল,

চোখের লজ্জা রেখেছি কম্পিত অভিন্ন হাত।

দীর্ঘ চুম্বনে রাত নেমে আসে অভিন্ন দেহে

একসাথে মিলি সুরম্য বাগানে

নীল আকাশে কী সুন্দর নক্ষত্র ঝিলিমিলি।

প্রেম সাধন

স্বামী মেলে সাধন করলে, বউ মেলে না

সাধনে। তুমি ভিন্ন আমি ভিন্ন ভিন্ন হই দেহের ভজনে।

গুরু তুমি মানুষ গড়িলা, দিলা বুকে পিরিতি।

সেই বুকে আগুন জ্বলে বোঝে না কেউ রীতি।

পাপ-পুণ্য না বুঝিয়া ঢালে প্রেম স্বজনে।

ও বিধি ওই নয়া পিরিতে মজিয়া মন।

লাভের খাতা আমার হইলো না রে পূরণ।

পরান কান্দে যার লাগি সে থাকে গোপনে।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

দোলন চাঁপা’র একগুচ্ছ কবিতা

আপডেট সময়: ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

♠ 

আলগোছে পালিয়ে যাবো

তবুও চলে যাবো

সীমান্ত ভেদে গাঢ় অন্ধকারে,

সোনালি বিকেলের বিরুদ্ধে।

অলৌকিক জাহাজের মাস্তুল ঠিকানাবিহীন চলমান ঘোড়া।

জোয়ার ভাটার বাঁধাহীন গন্তব্য তবে কীসের তাগিদ!!

আকাশের রক্তবর্ণ চোখ মেঘেরা

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার মতো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে।

আমি আলগোছে পালিয়ে যাবো তৃণ ঘাসের ডগায়।

মায়াবী ক্রন্দনে চোখের জল

রাতের কুয়াশার মতো ঝরে পড়ে।

কষ্টগুলো…

 

স্বপ্নভূক

যাকে ভালোবাসি তার মুখোমুখি হতে গেলেই

রাতের অন্ধকার নেমে আসে

তিমির বিনাশী চোখ ছিলো আমার

আহা বারবার তার আহ্লাদী মুখ

চৌকস পলায়নপর পাহাড়ি পৌরুষ

নিয়ে ডেকে যায়

নিদ্রায় মশগুল আমার অলিন্দে আজ স্বপ্নভূক সন্ধ্যা

তারা মিটিমিটি ইশারা। আমার গভীরে কেবলি তুমি

বিশাল সমুদ্র ভূমি।

ঘুমঘোরে কাটে রাত তুমিহীন

বিশ্ব নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যায়

রাত থমথম স্তব্ধ নিঝুম ভালোবাসার

দোলায়িত মেঘ তিমির রাত্রি অন্ধকার যাত্রি

তোমাকেই খুঁজে ফিরি।

ঢেউয়ের ছোবল

একদিন সব শেষ হয়ে যাবে

আকাশের বিশাল জলরাশি,

মেঘ ঘন কুয়াশার মতো হালকা বৃষ্টিপাত

ধীরে কমে যায়

বাতাসের বেগ অদ্ভুত অন্ধকার রাত

উদ্দাম সৃষ্টির রহস্য হারাবে।

ক্ষুধার্ত সর্বগ্রাসী তরঙ্গমালা

ঢেউয়ের ছোবল প্রবল জলস্রোতে

এরমধ্যে বাতাসের আস্কারা জলের উন্মাদনা

কারো কারো মতে হতে পারে নরকের ইশারা

তবু আকাশ পরে থাকে স্বর্ণবালা

নক্ষত্র ঝিলিমিলি

নীল আকাশে পেতেছি যে শয্যা

মেঘের তিমিরে কাটাবো রাত মেঘে ঢাকা নীল,

চোখের লজ্জা রেখেছি কম্পিত অভিন্ন হাত।

দীর্ঘ চুম্বনে রাত নেমে আসে অভিন্ন দেহে

একসাথে মিলি সুরম্য বাগানে

নীল আকাশে কী সুন্দর নক্ষত্র ঝিলিমিলি।

প্রেম সাধন

স্বামী মেলে সাধন করলে, বউ মেলে না

সাধনে। তুমি ভিন্ন আমি ভিন্ন ভিন্ন হই দেহের ভজনে।

গুরু তুমি মানুষ গড়িলা, দিলা বুকে পিরিতি।

সেই বুকে আগুন জ্বলে বোঝে না কেউ রীতি।

পাপ-পুণ্য না বুঝিয়া ঢালে প্রেম স্বজনে।

ও বিধি ওই নয়া পিরিতে মজিয়া মন।

লাভের খাতা আমার হইলো না রে পূরণ।

পরান কান্দে যার লাগি সে থাকে গোপনে।