০৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখী ‘সং মার্চ’ আটকে দিল পুলিশ

  • আপডেট সময়: ০১:৪৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 5

সংগৃহীত ছবি


ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে ‘সং মার্চ‘ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছ পুলিশ। পুলিশের বাধায় প্রতিবাদী এই সংগীতযাত্রা পুনরায় পল্টনের মুক্তাঙ্গনে ফিরে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মুক্তাঙ্গন থেকে পল্টন, কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল দিয়ে শান্তিনগরে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাতে বাধা দেয়।

পুলিশের বাধার পর মিছিলটি রাজারবাগ হয়ে পুনরায় মুক্তাঙ্গনে ফিরে যায়।


আরো পড়ুন

আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি : উপ-উপাচার্য

https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2025/04/24/1508616


শান্তিনগরে পুলিশের বাধার পর সেখানে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে সারা ভারতজুড়ে নানা সময়ে নানা স্থানে নানাভাবে সেখানকার মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিমরোলার চলেছে। আমরা জানি, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটের গণহত্যা ও ধ্বংযজ্ঞ চলেছে।

২০১৩ সালে মুজাফফরাবাদের মুসলিমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। ২০২০ সালে দিল্লিজুড়ে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিগ্রহ, বঞ্চনা, লাঞ্ছনা করা হয়েছে এবং মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা ধ্বংসযজ্ঞ করা হয়েছে। সর্বশেষ ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণ ও প্রতিকার হননের অসৎ উদ্দেশ্য ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ আইন সংশোধন বিল পাশ করা হয়েছে। এটাকে আইনে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে।

মুহিব খান আরো বলেন, ‘আমরা চাই এই ওয়াকফ বিল শুধু স্থগিত নয়, এটাকে বাতিল করতে হবে। অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। আমরা চাই, ভারতব্যাপী মুসলিমদের নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার ও ধর্ম পালনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মান্ধ উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদীদের এসব আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আমরা কখনো চাই না, ভারত সরকার উগ্রবাদীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সমর্থন দিক।

আমরা এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

মুহিব খান বলেন, ‘ভারতে মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা আজ অভিনব প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা করেছি। আমরা প্রশাসনের নিয়মের বাইরে যেতে চাই না, আমাদের রাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাই না। তাই আমরা আবারো মুক্তাঙ্গনে ফিরে যাচ্ছি।’

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

আল জাজিরাকে প্রধান উপদেষ্টা: শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় মোদি বললেন পারবেন না

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখী ‘সং মার্চ’ আটকে দিল পুলিশ

আপডেট সময়: ০১:৪৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে ‘সং মার্চ‘ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছ পুলিশ। পুলিশের বাধায় প্রতিবাদী এই সংগীতযাত্রা পুনরায় পল্টনের মুক্তাঙ্গনে ফিরে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মুক্তাঙ্গন থেকে পল্টন, কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল দিয়ে শান্তিনগরে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাতে বাধা দেয়।

পুলিশের বাধার পর মিছিলটি রাজারবাগ হয়ে পুনরায় মুক্তাঙ্গনে ফিরে যায়।


আরো পড়ুন

আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি : উপ-উপাচার্য

https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2025/04/24/1508616


শান্তিনগরে পুলিশের বাধার পর সেখানে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে সারা ভারতজুড়ে নানা সময়ে নানা স্থানে নানাভাবে সেখানকার মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিমরোলার চলেছে। আমরা জানি, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটের গণহত্যা ও ধ্বংযজ্ঞ চলেছে।

২০১৩ সালে মুজাফফরাবাদের মুসলিমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। ২০২০ সালে দিল্লিজুড়ে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিগ্রহ, বঞ্চনা, লাঞ্ছনা করা হয়েছে এবং মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা ধ্বংসযজ্ঞ করা হয়েছে। সর্বশেষ ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণ ও প্রতিকার হননের অসৎ উদ্দেশ্য ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ আইন সংশোধন বিল পাশ করা হয়েছে। এটাকে আইনে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে।

মুহিব খান আরো বলেন, ‘আমরা চাই এই ওয়াকফ বিল শুধু স্থগিত নয়, এটাকে বাতিল করতে হবে। অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। আমরা চাই, ভারতব্যাপী মুসলিমদের নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার ও ধর্ম পালনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মান্ধ উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদীদের এসব আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আমরা কখনো চাই না, ভারত সরকার উগ্রবাদীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সমর্থন দিক।

আমরা এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

মুহিব খান বলেন, ‘ভারতে মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা আজ অভিনব প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা করেছি। আমরা প্রশাসনের নিয়মের বাইরে যেতে চাই না, আমাদের রাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাই না। তাই আমরা আবারো মুক্তাঙ্গনে ফিরে যাচ্ছি।’