
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত। ছবি: মীর ফরিদ, সিলেট থেকে
ম্যাচের আরো দুই দিন বাকি ছিল। বুধবার সকালে আলোকস্বল্পতায় খেলাও শুরু হয়েছে দেরিতে। ৬০ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই বাজে শটে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক! এরপর ম্যাচ শেষে ৩ উইকেটে হারের দায়ভার তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯৫ রানে। চতুর্থ দিনেই ১৭৪ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে বোলাররাই যা একটু রোমাঞ্চ তৈরি করেছিলেন ম্যাচে। আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
তার আগে কীভাবে অধিনায়ক হিসেবে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দেবেন নাজমুল?
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে নাজমুল বলেন, ‘দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হতে হবে। তবে অনুপ্রেরণা দিয়ে খুব একটা কিছু হয় না আসলে। যে যে জায়গায় ভুল করেছে, সে সেই ভুলটা যেন না করে, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের ম্যাচ নিয়ে যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন একজন অধিনায়ক হিসেবে, তাহলে পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি।
সত্যি কথা। কারণ সকালের ওই আউটটাতেই (সব কিছু) নষ্ট হয়ে গেছে।’
দলের পরাজয়ে আজ সকালে নিজের আউটের দায় দেখছেন শান্ত। পুরো দায়ভার তিনি নিজের কাঁধেই নিলেন, ‘তখন যদি একটা ৫০-৬০ রানের জুটি হতো, তাহলে ২২০ (রানের লিড হতে পারত)। ২২০ রানের বেশি লিড হলে আমরা হয়তো ভালো অবস্থানে থাকতাম, সকালে ব্যাটিংয়ের আগে একটা আলাপচারিতাতেও কিন্তু আমি এটা বলেছি।
এই পুরো ম্যাচে সবার দিকে আসলে (অভিযোগ) নিয়ে যেতে চাই না। পুরো দায়ভার আমি নিতে চাই। কারণ, খুব বাজে সময়ে আমি আউট হয়েছি।‘