১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’

  • আপডেট সময়: ০৭:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 13

দুই হাত কাটা গাজায় যুদ্ধাহত এক শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই ছবিটি তুলেছেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক সামার আবু এলফ। ছবিটি ৯ বছর বয়সী মাহমুদ আজজুরের।

সে ২০২৪ সালের মার্চে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় দুই হাত হারিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরুর পর ২০২৩ সালের শেষদিকে গাজা ছেড়ে আসেন সামার আবু এলফ। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহার মাহমুদের সঙ্গে একই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বাস করছেন।

চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বেরিয়ে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপন নিয়মিত চিত্রবন্দী করছেন এই নারী আলোকচিত্রী।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর নির্বাহী পরিচালক জুমানা এল জেইন খুরি বলেন, ‘এই নিঃশব্দ ছবিটি অনেক কথা বলে। একটি শিশুর গল্প বলে, সঙ্গে একটি বড় যুদ্ধের কথাও বলে—যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুভূত হবে।’

এ বছরের প্রতিযোগিতায় দুটি আলোকচিত্র রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে। একটি গেটি ইমেজেসের জন্য জন মুরের তোলা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েকজন অভিবাসীর ছবি।

 

আরেকটি অ্যামাজন অঞ্চলের খরার চিত্র ফুটিয়ে তোলা মুসুক নোল্টের একটি আলোকচিত্র। এই ছবিতে অ্যামাজনের মানাকাপুরু গ্রামের এক যুবককে দেখা যায়, যিনি শুকিয়ে যাওয়া নদীর তলদেশ ধরে হাঁটছেন।

এই ছবি অ্যামাজন অঞ্চলের পানি সংকটের ভয়াবহতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’

আপডেট সময়: ০৭:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

দুই হাত কাটা গাজায় যুদ্ধাহত এক শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই ছবিটি তুলেছেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক সামার আবু এলফ। ছবিটি ৯ বছর বয়সী মাহমুদ আজজুরের।

সে ২০২৪ সালের মার্চে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় দুই হাত হারিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরুর পর ২০২৩ সালের শেষদিকে গাজা ছেড়ে আসেন সামার আবু এলফ। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহার মাহমুদের সঙ্গে একই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বাস করছেন।

চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বেরিয়ে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপন নিয়মিত চিত্রবন্দী করছেন এই নারী আলোকচিত্রী।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর নির্বাহী পরিচালক জুমানা এল জেইন খুরি বলেন, ‘এই নিঃশব্দ ছবিটি অনেক কথা বলে। একটি শিশুর গল্প বলে, সঙ্গে একটি বড় যুদ্ধের কথাও বলে—যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুভূত হবে।’

এ বছরের প্রতিযোগিতায় দুটি আলোকচিত্র রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে। একটি গেটি ইমেজেসের জন্য জন মুরের তোলা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েকজন অভিবাসীর ছবি।

 

আরেকটি অ্যামাজন অঞ্চলের খরার চিত্র ফুটিয়ে তোলা মুসুক নোল্টের একটি আলোকচিত্র। এই ছবিতে অ্যামাজনের মানাকাপুরু গ্রামের এক যুবককে দেখা যায়, যিনি শুকিয়ে যাওয়া নদীর তলদেশ ধরে হাঁটছেন।

এই ছবি অ্যামাজন অঞ্চলের পানি সংকটের ভয়াবহতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।